যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ১৭ মার্চ শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাস প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, কাউন্সেলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মো. আব্দুল হাই মিল্টন এই বাণী পাঠ করেন।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন ১৯৭১ সালে নয় মাসব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে জাতীয় শিশু নীতি-২০১১ প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন। এরপর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী জাকিয়া হাসনাত পিঠা তৈরি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন. সিদ্দিক, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, এবং সড়ক পরিবহন এবং জনপথ বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী উপস্থিত ছিলেন। তিন পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল-১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল-৩) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।