সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে নিউইয়র্কের আদালতে অপরাধ আইনে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ঠিক কবে আনা হবে, এ নিয়ে কোনো আগাম তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে সিটিতে এ নিয়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি গ্রহণ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য মাধ্যমের সূত্র দিয়ে ১৭ মার্চ শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদে সিটিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতির কথা জানা গেছে।
কোনো তারিখ জানা গেলেও ম্যানহাটানের আদালতের প্রস্তুতি দেখে অনুমান করা হচ্ছে, যেকোনো্ দিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে অভিযোগ আনা হতে পারে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক থেকে এ মামলার উৎপত্তি। পর্ন তারকার সাথে সম্পর্কের কথা ফাঁস না হওয়ার জন্য অর্থ দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। নির্বাচনি প্রচারণা তহবিল থেকে এ অর্থ দেয়া হয় এবং কাজটির সমঝোতা করেছিলেন ট্রাম্পের তখনকার আইনজীবী মাইকেল কোহেন। ক্যাম্পেইন ফাইন্যান্স আইন লঙ্ঘনের দায়ে নিউইয়র্কের আদালতেই দণ্ডিত হয়ে কারাবরণ করেছেন মাইকেল কোহেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ আইনজীবী মাইকেল কোহেন ম্যানহাটনের আদালতে গ্র্যান্ড জুরির কাছে কয়েক দফা সাক্ষ্য দিয়ে আসছেন। স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখার জন্য ট্রাম্প অর্থ দিয়েছেন এবং এ অর্থের লেনদেন তাঁর মাধ্যমে হয়েছে বলে মাইকেল কোহেন সাক্ষ্যে বলেছেন। এ সমঝোতার জন্য ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাঁকে বোনাসসহ অতিরিক্ত অর্থও প্রদান করা হয়েছে বিলে তিনি সাক্ষ্যে বলেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে এ মামলা ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাঁকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলমান রয়েছে। নিউইয়র্কের আদালতে অপরাধ আইনে অভিযোগ আনা হলে এটিই হবে আমেরিকার কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টকে অপরাধ আইনে অভিযুক্ত করার প্রথম ঘটনা।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হলে ট্রাম্পকে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন গ্রহণ করতে হবে অথবা গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি হয়ে যাবে। ম্যানহাটনের আদলতের প্রস্তুতি ও সিটিতে নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে সহসাই এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। ট্রাম্পের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এমন কোনো প্রস্তুতির কথা তাঁদের জানা নেই। তবে আদালতে অভিযোগ আনা হলে তাঁরা নিয়মমাফিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জোসেফ টেকোপিনা।
ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস থেকে এ নিয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে আসছেন ২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। ভুত খোঁজার মতো করে ডেমোক্র্যাট দল রাজনৈতিক কারণে তাঁর পিছু লেগেছে বলে তিনি অভিযোগ করে আসছেন। একপর্যায়ে তাঁর আইনজীবী বলেছেন, এমন হয়রানিমূলক মামলার গ্র্যান্ড জুরি শুনানিতে ট্রাম্প উপস্থিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদিও আদালতে অভিযোগ আনা হয় তাহলে আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নেয়ার জন্য ট্রাম্পকে নিউইয়র্কে উপস্থিত হতে হবে।