সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের বলরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ব্যবসায়ী নেতারা দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু, প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি ও সংশোধনের ব্যবস্থা, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টে অদৃশ্য জটিলতা নিরসন, প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের নিরাপদ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রিয় খরচে মরদেহ দেশে প্রেরণ ও বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধসহ ১১ দফা দাবি রাষ্ট্রপতি বরাবর তুলে ধরেন।
এসব দাবির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা সবসময় দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করছি। সেকারণে দূতাবাসের পাশাপাশি প্রবাসীদেরও সহযোগিতার মানসিকতা থাকতে হবে। দেশ থেকে মালামাল আমদানির ব্যাপারে প্রেরক ও আমদানি কারককে সৎ ও সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে আমদানিকৃত মালামাল গ্রাহকের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে ফ্রান্সেই প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি তৈরি করতে হবে।
বিমানবন্দরে কোনো প্রবাসী হয়রানির শিকার হলে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ও ব্যক্তির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্তকে কঠোর শান্তির আওতায় আনার ব্যাপারেও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
এসময় ইউরো-বাংলা বিজনেস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরো-বাংলা বিজনেস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মঞ্জুরুল হাসান চৌধুরী সেলিম, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছ, ইউরো-বাংলা বিজনেস এসোসিয়েশনের হেড কো-অর্ডিনেটর আবু তাহির, ডিরেক্টর হাসান মাহমুদ দুলাল, ডিরেক্টর আল আমিন চৌধুরী ও ডিরেক্টর হেলাল আহমদ।