বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
নিউইয়র্ক -প্রথম আলো

মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব এখনও অপ্রস্তুত

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৭
নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ীই কোভিড- ১৯ -এ ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে সারা বিশ্বে। অনেকেই মনে করেন হিসেবের খাতায় নাম আসেনি এমন মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বে এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষে এ সময় এত মৃত্যু ভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি করে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। দেশগুলো পরবর্তী মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো অবস্থায় নেই। বলা হচ্ছে, ‘ভয়াবহ রকমের অপ্রস্তুত অবস্থা’য় আছে। ৩০ জানুয়ারি সোমবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) প্রকাশিত ‘বিশ্ব দুর্যোগ প্রতিবেদন-২০২২’–এ এমন সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
 
আইএফআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে কোভিড মহামারি শুরুর আগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোর সরকারের প্রস্তুতি যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। কোভিড-১৯ মহামারিজনিত তিনটি ‘ভয়াবহ’ বছর পার করার পরও এ সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোর প্রস্তুতিতে ব্যাপক ঘাটতি আছে। বছর শেষে প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনাগুলো হালনাগাদ করতে দেশগুলোর প্রতি সংস্থাটি আহ্বান জানিয়েছে।
 
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক এ নেটওয়ার্ক আরও বলেছে, পরবর্তী সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে আস্থা তৈরি, সমতা নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় পর্যায়ে পদক্ষেপমূলক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাটা জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোভিড-১৯–কে আন্তর্জাতিকভাবে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সুপারিশগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। আইএফআরসি দুটি প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো করেছে।
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি শতকে বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ ও রোগের প্রকোপের মধ্যেও পড়তে হতে পারে। কোভিড-১৯ এসবের একটি মাত্র। আইএফআরসির মহাসচিব জগন চাপাগাইন মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত কোভিড-১৯ মহামারিকে সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচনা করে পরবর্তী স্বাস্থ্য সংকটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।  তিনি বলেন, ‘পরবর্তী মহামারি যেকোনো সময়ই আসতে পারে। আমরা যদি কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিজনিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জোরেশোরে প্রস্তুতি না-ই নিতে পারি, তাহলে আর কীভাবেই বা পারব?
 
রেডক্রসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের দেশগুলোকে শুধু একটি নয়, বহু রকম ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা নেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশগুলো সত্যিকার অর্থে স্থিতিস্থাপক হয়ে উঠতে পারে।
 
আইএফআরসি মনে করে, জনসাধারণ যদি নিরাপত্তা বার্তাগুলোর প্রতি আস্থা রাখতে পারে, তাহলেই তারা কেবল জনস্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে চলবে এবং টিকা গ্রহণ করবে। আস্থার জায়গাটি মজবুত না হলে জনস্বাস্থ্য ইস্যুটির রাজনীতিকরণ ও ব্যক্তিকরণ হতে পারে। কোভিড পরিস্থিতির সময়ে যা দেখা গিয়েছিল। মহামারি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো যেন কম দামে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে আইএফআরসি। একই সঙ্গে এগুলো সংরক্ষণের পদ্ধতি সহজ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

কোলাহল ও বায়োস্কপের যৌথ উদ্যোগে শর্ট ফিল্মস ফেস্টিভ্যালের ঘোষণা

স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ

শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে অপটিমিস্টসের সৌজন্য সাক্ষাৎ 

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি নিহত

স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ সোসাইটির আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত ১৭৫ জন

লাল-সবুজের ভালোবাসায় মাখানো স্বাধীনতা দিবস

 
 
সম্পাদক: ইব্রাহীম চৌধুরী | Editor: Ibrahim Chowdhury