
২২ জানুয়ারি রোববার পুলটি ভাঙা নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করে এলজিইডি।
শুনানিতে এলাকাবাসী পুল ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের পক্ষে মতামত দিয়েছেন বলে জানান এলজিইডির সিলেট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবির। এলজিইডির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম আজ সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘দেওয়ানের পুল ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ। এই পুল ভাঙার অধিকার এলজিইডির নেই। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরও এই পুল ভাঙার অনুমোদন দেয়নি। গণশুনানি পুল ভাঙার আগে করার কথা ছিল। পরে করল কেন?
আব্দুল করিম কিম ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘দেওয়ানের পুল ভাঙতে এলজিইডি নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই গণশুনানি তারই অংশ। এটি একটি পাতানো নাটক। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই স্থাপনা রক্ষার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দিয়েছে। এরপরেও পুল ভাঙতে এই গণশুনানি নাটকের আয়োজন করা হয়েছে। এই স্থাপনা ভাঙার উদ্যোগ নেওয়ায় এলজিইডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যা বাপার পক্ষ থেকে অবিলম্বে নেওয়া হবে।
এর আগে এলজিইডির সিলেট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবির বলেন, ‘রোববার গণশুনানিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১৬৭ জন অংশ নেন। সহজে পানিপ্রবাহ ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেওয়ানের পুল ভেঙে নতুন সেতু করার পক্ষে মত দিয়েছেন অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী। এলাকাবাসীর কাছে পুলের ওপর দিয়ে বা পাশ দিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে মতামত চাওয়া হলে তাঁরা জলাবদ্ধতা ও সড়ক দুর্ঘটনা কমবে না বলে জানান।
সেতুটি ভাঙার সময় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বাপা সিলেট শাখার সদস্যরা বাধা দেন। পরে এলজিইডি কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেতুটি সংরক্ষণ এবং ভেঙে ফেলা কিছু অংশ পুনরায় নির্মাণেরও দাবি জানান বাপার সদস্যরা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা যায়, সেতুটি ভারী যানবাহন বহনের সক্ষমতা হারানোর কারণে পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। পুরোনো সেতুটির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট ও প্রস্থ ১৬ ফুট। একই জায়গায় ৯৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের নতুন সেতু বানানো হবে। এ জন্য ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে সেতুর সংযোগ সড়কটিও প্রশস্ত করার কথা।