কানাডার মন্ট্রিয়লে চলছে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্যবিষয়ক সম্মেলন কপ-১৫। কপ-১৫ সম্মেলন শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর। শেষ হবে ১৯ ডিসেম্বর। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে কপ-১৫-এ অংশ নেবেন জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্যবিষয়ক কনভেনশনের (সিবিডি) সদস্য ১৯৬ দেশের জলবায়ুমন্ত্রীরা। এতদিন সম্মেলনে দায়িত্ব পালন করছিলেন তাঁদের প্রতিনিধিরা। মন্ত্রীরা যোগ দেওয়ার পর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আলোচনা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয়গুলোর একটি ‘পিস প্যাক্ট উইথ নেচার’ নামের একটি চুক্তি। এই চুক্তির লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে চলতি দশকের শেষ নাগাদ বনজঙ্গল, পানি ও জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। খসড়া চুক্তিতে ২২-২৩টি লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি লক্ষ্যের বিষয়ে একমত হয়েছে সিবিডির সদস্যদেশগুলো। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলফ্রেড ডিগেমিস বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে সরকারের কাছ থেকে অগ্রগতি এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত তা যথেষ্ট নয়।
তবে পুরোপুরি সমঝোতা বেশ দূরে হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা ডব্লিউডব্লিউএফ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান মার্কো ল্যাম্বারতিনি। এদিকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত শনিবার ধনী দেশগুলোর কাছে বছরের ১০ হাজার কোটি ডলার বা বৈশ্বিক জিডিপির ১ শতাংশ আর্থিক ভর্তুকি চেয়েছে ব্রাজিল। আফ্রিকা মহাদেশ এবং ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি দেশের পক্ষে এই দাবি তুলেছে তারা। দাবি অনুযায়ী, এই ভর্তুকি দিতে হবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। তবে দাবিটি অবাস্তব বলে মনে করছে ধনী দেশগুলো।
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০২০ সালে তাদের বরাদ্দ করা সহায়তার পরিমাণ ছিল এক হাজার কোটি ডলার। এ বিষয়ে কপ-১৫-এ অংশ নেওয়া ফরাসি প্রতিনিধি সিলভি লেমেট বলেন, ‘আমরা যদি আজ এক হাজার কোটি ডলারে থাকি, সেখান থেকে হুট করে ১০ হাজার কোটি ডলারের কথা তোলা সম্মেলনকেই অকার্যকর করে দেবে।’ সব মিলিয়ে সিবিডির প্রধান এলিজাবেথ ম্রেমা বলছেন, এ পর্যন্ত যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা উৎসাহ জাগানোর মতো। তবে সামনের দিনগুলো অতটাও সহজ নয়।